তাসাউফের বাস্তবতা ও প্রকিতি::::::
..
হজরত মহম্মদ ইবনে আলী ইবনে হুসাইন ইবনে আলী ইবনে আবু তালিব রাদ্বিআল্লহুতায়ালা আনহু বলেন......""তাসাউফ সৎ সভাবের নাম।মানুষের চরিত্র যত উন্নত হবে তার তাসাউফ ততটা বিদ্ধি পাবে।"""
..........!..................................................................
******আখলাকের ২টি শ্রেণী বিভাগ**********
আখলাক বা সৎ চরিত্রের ২টি শ্রেণি রয়েছে।প্রথম শ্রস্টার সাথে সৎ স্বভাব অপরটি সিস্টির সাথে সদ্ব্যবহার।।
১) আল্লাহর সাথে সদ্ব্যবহার করার মানে এই যে আল্লাহ্র বিধনে রাজি থাকবে।তার কোনো কাজে ই অভিযোগ করবে না।তার সকল আদেশ নিষেধ নত মস্তকে মেনে নিবে।।
.
.
২)সিস্টির সাথে সৎ স্বভাবের মানে হচ্ছে সিস্টির প্রতি আল্লাহ্ তালা যে দায়িত্বভার দিয়েছেন আল্লাহ্ সস্তুস্টি লাভের উদ্দেশ্য অবশ্য তা পালোন করবে এবং নি:স্বার্থ ভাবেই আদায় করবে।
***************-**-----*******************************
হজরত মারতায়াশ রহমাতুল্লাতায়ালা আলাই বলেন:::::সৎ স্বভাবের নামই হচ্ছে তাসাউফ।।
তা তিন প্রকার.................
১)প্রথমত ::::মহান আল্লাহ্ প্রতি সদ্ব্যবহার করা।অর্থাৎ তার সকল আদেশ -নিশেধ তাঁরই সন্তস্টি বিধানারথে বিনা বাক্যব্যয়ে মান্য করা।।
২)দ্বিতীয়ত :::::::সিস্টির সাথে সদ্ব্যবহার করা।মানে বয়স্ক দের সন্মানজনক আচরণ করা।ছোটো দের স্নেহ করা এবং অসমবয়সী দের সাথে সমান ব্যবহার করা(নি:স্বার্থ ভাবে)...
৩)তিতীয়ত::::::শয়তান ও কু প্রবিত্তির আনুগত্য না করা।
***********************************************
হজরতে জুনায়েদ বোগদাদী রহমাতুল্লাহা আলাই বলেন::::::::
তাসাউফ এর ৮টি নিদর্শন।। যথা::: সাখাওয়াত,রেজা,সবর,,ইশারাত,,গুরবাত,,পশমি পোশাক,,, সিয়াহাত,,এবং আল-ফাকর।।।।
*********************************************
১)সাখাওয়াত(দানশীলতা)::::::এর উদাহরণ হজরত ইব্রাহিম আলাইহিসালাম।। তিনি তার পুত্রের জীবন আল্লাহ্ পথে উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন।
.
২)রেজা(আল্লাহ্র সন্তুষ্টি):::::এর উদাহরণ হজরতে ঈসমাইল আলাইহিসালাম।। তিনি আল্লাহ্ সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্য আত্মোৎসর্গ করেছিলেন।
.
৩)সুবর(ধৈর্য) :::::এর প্রতিক হজরত আইউব আলাইহিসালাম।। নিজের চোখের সামনে পরিবারের সকল কে ধ্বংস হয়ে যেতে দেখে এবং নিজের সরবো শরীর কীটে খেয়ে ফেলার পরও তিনি কোনো দিন অধৈর্য হন নি।।
.
৪)ইশারাত(ইঙ্গিত) :::::এর উদাহরণ হজরত জাকারিয়া আলাইহিসালাম।। তিনি আল্লাহ্র নির্দেশ পালনারথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়ে ছিলেন এবং ইশারায় কাজ সম্পাদন করতেন।।
.
৫)গুরবাত(অপরিচিত হওয়া)::::এর উদাহরণ হজরত ইয়াহইয়া আলাইহিসালাম। তিনি আল্লাহ্ সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্য নিজের দেশেও অপরিচিত ছিলেন।।
.
৬)পশমী পোশাক পরিধান::::হজরত মুসা আলাইহিসালাম পশমী পোশাক ব্যবহার করতেন।
.
৭)সিয়াহাত(ভ্রমণ) ::::এর উদাহরণ হজরত ঈশা আলাইহিসালাম। তিনি একটি পান পাত্র আর একটি চিরুনি সাথে নিয়ে বাড়ি ত্যাগ করেন।
পথি মধ্যে একজন কে আঙ্গুল দিয়ে চুল বিন্যাস এবং অঞ্জলি ভরে পানি পান করতে দেখে পান পাত্র এবং চিরুনি ও ফেলে দিয়ে ছিলেন।
.
৮)আল-ফাকর(দরিদ্রতা) :::এর প্রকিত উদাহরণ হুজুরে আকরাম সাল্লালাহুতায়ালা আলাইহি ওসাল্লালাম।সুখ স্বাচ্ছন্দ্য জীবনযাপন করার জন্য আল্লাহ্ দিনিয়ার সকল সম্পদের চাবি তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন।কিন্তু এক দিন পেট ভরে খাওয়া এবং দুই দিন অনাহারে থাকাকেই তিনি অধিক পছন্দ করলেন।
আবার তিনি আল্লাহ্ কাছে প্রার্থনা করলেন ::""হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে দরিদ্র অবস্থায় জীবিত রাখো,দরিদ্র অবস্থায় মিত্যু দান কর এবং দরিদ্রদের সাথে হাশর কর।।
***********************************************
::::::তাসাউফ এর আবশ্যকতা :::::
তাসাউফ প্রমানের আলোচনার সমাপনান্তে হজরত আলী হাজবেরী রহমাতুল্লা আলাই প্রতমে তাসাউফের অস্বীকারকারী দের উত্তরে আবুল হাশান আবু শাহনার উক্তি উদ্ধৃত করেন যে.......""আজ কাল তো তাসাউফ একটি কথা মাত্র,, তার পক্ষে কোনো কোনো যাথার্থ্য যুক্তি নেই।কিন্ত সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন এবং তাবে তাবেঈন দের আমলে তার যাতারথোতা ছিলো।নি:সন্দেহে ঐ যুগে তাসাউফ নামে কিছু ছিলো না কিন্তু আসল বিষয় বস্ত টা ঠিকি ছিল।""""""
***********************************************
এই উদ্ধৃতি লিপি বদ্ধ করার পর হজরত হাজবেরি বলেন......""তাসাউফ সম্পর্কিত তোমরা যা বলো তা যদি বর্তমান অবস্থা দেখে বলো তাহলে আমরাও তার সমর্থক। তাসাউফ কে অস্বীকার করার ব্যাপারে তোমাদের অভিমত যদি নাম নিয়ে হই তবে তা দোসনীয় নই।কারন তার মুল বিষয় বস্ত যদি বিদ্যমান থাকে তাহলে নাম নিয়ে কোনো ঝগড়া বিবাদ বা ওকে গুয়েমি নেই।।।
*************************************>>>>>>>
আর যদি তার আসল বিষয় বস্তু সম্পর্কিত অস্বিকার কর তাহলে স্মরন রেখো তা দ্বারা শরীয়তকে অস্বীকারই করা নই বরং মহানবি সাল্লালাহুতায়ালা আলাইহিসালাম এর প্রশংসানীয় ফজিলত এবং সাহাবায়ে কেরামের প্রশংসনীয় গুণাবলী কেও অস্বীকার করা হবে।কারন এই জাতীয় অস্বীকার করার পর ধর্মের সব কিছুতেই রিয়া কারী দেখায়।ধর্মের মূল বিষয় বস্তু তো আল্লাহর প্রতি অন্তঃরিকতা ও ভালোবাসার সাথে অঙ্গাঅঙ্গিক ভাবে জড়িত।একে অস্বিকার করলে ধরমের কোথায় আর বল থাকলো??হাঁ এখন যদি তোমারা তাকে স্বীকার করো এবং তা যদি বিদ্যমান থাকে তাহলে আমরা তাকেই তাসাউফ বলবো।
*********************************>>>>>>>>>>
হজরত আবুল হাসান রহমাতুল্লা আলাই বলেন....""তাসাউফ কোনো নির্দিষ্ট আচার আচরণ বা বিদ্যার সনদ পত্রের নাম নই।বরং সচ্চরিত্র ও সদ গুনাবলির নামই তাসাউফ """"
===========================>>>>>>>>
আবুল হাসান নুরী রহমাতুল্লাহ আলাই বলেন...""কু পবিত্তি, লোভ লালসার দাসত্ব থেকে মুক্ত থাকা ; অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান এবং পার্থিব লৌকিকতা থেকে দূরে থাকার নামই তাসাউফ।নিজের সম্পদ অসহায় দের মাঝে বিলিয়ে দেওয়া এবং দুনিয়াকে অন্যের হাতে ছেড়ে দেয়ার নাম অই তাসাউফ।। """"""
==============================>>>>>
হজরত আবু হাফস হাদ্দাদ নিশাপুরী রহমাতুল্লাহ আলাই বলেন.....""""শরীয়ত এর নির্দেশ পালন করা এবং শিষ্টতা রক্ষা করার নামই তাসাউফ। যে ব্যাক্তি প্রতিটি মুহূর্ত এর আদব বা শিষ্টতা মান্য করে চলে আএ মানুষের কাঙ্কিত স্থান লাভ করতে সক্ষম হই। আর যে তা মেনে চলে না সে তার কাঙ্কিত স্থানে পৌঁছতে সক্ষম হই না।"""""
♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥
সূত্র::কাশফুল মাহজুব।(সৈয়দ আবুল হাসান আলী দাতা গঞ্জে বখশ হাজবেরী রহমাতুল্লাহ আলাই))
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
আল্লাহ্ আমাদের সকল কে এই সকল সুফি দের দেখানো পথে থাকার তৌফিক দান করুন আমিন।
BY
সৈয়দ মোস্তাফা সাকিব।