★بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم★لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ★اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ★
YaNabi.in
২৮শে সফর উল মুজাফফরঃ শাহাদাত এ আমিরুল মোমিনিন হজরত ইমাম হাসান আল মুজতাবা رضي الله عنه - Tasawuf Discussions on

২৮শে সফর উল মুজাফফরঃ শাহাদাত এ আমিরুল মোমিনিন হজরত ইমাম হাসান আল মুজতাবা رضي الله عنه

edited November 2016 in Tasawuf

২৮শে সফর উল মুজাফফরঃ শাহাদাত এ আমিরুল মোমিনিন হজরত ইমাম হাসান আল মুজতাবা رضي الله عنه


ইমাম হাসান رضي الله عنه ৫০ হিজরীর ২৮ সফরে তথা ৬৭০ খ্রিষ্টাব্দে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন হযরত আলী رضي الله عنه এবং নবীকন্যা হযরত ফাতেমা رضي الله عنه  এর সন্তান।ফযীলত ও মর্যাদার উৎস যেই পরিবার,সেই নবী ﷺ পরিবারে তিনি ৩ হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেন। সেজন্যে তিনি নবীজীর ﷺ অনন্য ব্যক্তিত্বের সুষমায় সমৃদ্ধ হবার সুযোগ পান। কিন্তু এই সুযোগ ৭ বছরের বেশি পান নি। এই ৭ বছরের মধুর সান্নিধ্যের স্মৃতিচারণ যখনই তিনি করেছেন,তখনই অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও সম্মানের সাথে করেছেন এবং তিনি নানার সান্নিধ্যের স্মৃতি বিন্দুমাত্রও ভোলেন নি। নবীজীর ﷺ ওফাতের পর এবং মায়ের শাহাদাতের পর ইমাম হাসান رضي الله عنه এর জীবনে নতুন একটি পর্বের সূচনা হয়। এ সময় তিনি বাবার সাহচর্যে কাটান।বাবার সাথে থেকে তিনি মূল্যবান সব জীবনাভিজ্ঞতা অর্জন করেন।

আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ূতি رحمة الله عليه ইমাম হাসান رضي الله عنه এর চারিত্র্যিক সৌন্দর্যের বর্ণনা দিয়েছেন খুবই চমৎকারভাবে। তিনি তাঁর জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করেছেন। নৈতিকতা,ব্যক্তিত্ব,আমানতদারী, ক্ষমাশীলতা, দানশীলতা ইত্যাদি তাঁর চরিত্রের সৌন্দর্যকে আরো বেশি ফুটিয়ে তুলেছে। ইতিহাসে এসেছে, ইমাম হাসান رضي الله عنه বেশ কয়েকবার তাঁর সকল ধন-সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় বিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি কখনোই কোনো সাহায্য-প্রার্থীকে খালি হাতে ফেরান নি। তিনি বলতেন-আমি নিজেও আল্লাহর দরবারে সাহায্যপ্রার্থী। আল্লাহও যেন আমাকে না ফেরান। এই আশা পোষন করি বলেই কোনো সাহায্য প্রার্থীকে খালি হাতে ফেরত দিতে লজ্জা পাই।

হযরত আলী رضي الله عنه এর শাহাদাতের পর ইমাম হাসান رضي الله عنه ইমামতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। জনগণের বুঝতে খুব একটা সময় লাগে নি যে,ইমাম হাসান رضي الله عنه ও বাবার মতোই সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। এ বিষয়টি স্বার্থবাদী একটি মহলের কাছে ভালো ঠেকে নি। তারা ইমাম হাসানের অস্তিত্বকে তাদের স্বার্থসিদ্ধর পথে প্রধান এক অন্তরায় বলে ভাবলো। তারা তাই ইমাম হাসান رضي الله عنه এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন উপায়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলো। ইমাম বলেছিলেন-তোমরা দ্বীনের স্বার্থের তুলনায় ব্যক্তিস্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছো। কিন্তু কে শোনে কার কথা। প্রতিপক্ষ ঘোষণা করলো তোমাদের এবং আমাদের মাঝে তলোয়ার ছাড়া আর কিছু নেই। ইমাম দেখলেন যুদ্ধের চেয়ে শর্তসাপেক্ষ সমঝোতাই উত্তম। তাঁর এই সিদ্ধান্তে তাঁর অনুসারীদের অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে ইমামের সিদ্ধান্তই ছিল সঠিক। 
যাই হোক, শত্র"পক্ষ ইমামকে এবং ইমামের অনুসারীদেরকে বহুভাবে হুমকি দিতে লাগলো। কিন্তু তাদের হুমকি কোনো কাজেই এলো না। ইমাম তাঁর দাওয়াতী কাজ চালিয়ে যেতে লাগলেন। হুমকি দিয়ে ইমামকে তাঁর দ্বীনী কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে না পেরে শত্র"রা শেষ পর্যন্ত ইমামকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। অবশেষে ২৮শে সফর তারিখে শত্র"রা তাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে ইমামকে শহীদ করে। ইমাম হাসান رضي الله عنه এর শাহাদাত বার্ষিকীতে শ্রোতাবন্ধুরা আপনাদের সবার প্রতি রইলো গভীর সমবেদনা। ইমামের মূল্যবান একটি বাণী দিয়ে শেষ করবো আজকের এই আলোচনা। 
তিনি বলেছেন-

তুমি যা জানো তা অন্যদেরকে শেখাও এবং অন্যদের জ্ঞানকেও তুমি আহরণ করো। তাহলে তোমার জ্ঞানের ভিত্তি যেমন মজবুত হবে তেমনি অনেক অজানা জ্ঞানও তুমি শিখতে পারবে।
তিনি অন্যত্র বলেছেন-
তিনটি বস্তু মানুষকে ধ্বংস করে-অহমিকা,লোভ ও পরশ্রীকাতরতা। #

#####সকলে ফাতিহা শরিফ পাঠ করবেন উনার নামে সওয়াব রেসানি করবেন।

Sign In or Register to comment.
|Donate|Shifakhana|Urdu/Hindi|All Sunni Site|Technology|